পাকিস্তান সরকার ইমরান হায়দারকে বাংলাদেশে নতুন হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যিনি সৈয়দ আহমেদ মারুফের স্থলাভিষিক্ত হবেন। গত মে মাসে সৈয়দ আহমেদ মারুফ পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জরুরি তলবে নিজ দেশে ফিরে যান। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কূটনৈতিক সূত্র।
সৈয়দ আহমেদ মারুফ গত ১১ মে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে দুবাই হয়ে ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা হন। তার এই হঠাৎ প্রস্থান নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন ছড়ায়। জানা যায়, গত ৯ মে কক্সবাজার সফরকালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে জরুরি তলব করে। সফরে তার সঙ্গে ছিলেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আজহার মাহমুদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সহকারী পরিচালক। কক্সবাজারের হোটেল সি-পার্লে অবস্থানকালে ওই নারীর সঙ্গে তাকে একাধিকবার দেখা গেছে। তবে ওই নারী দাবি করেন, এটি ছিল কাকতালীয় সাক্ষাৎ এবং তাদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্ক ছিল না।
এ ঘটনা পাকিস্তান সরকারের নজরে আসার পর সৈয়দ আহমেদ মারুফকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। পাকিস্তান হাইকমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, তিনি দুই সপ্তাহের ছুটিতে রয়েছেন। তবে, এক মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেননি। এরপর পাকিস্তান সরকার দ্রুত ইমরান হায়দারকে নতুন হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়।
ইমরান হায়দার ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। তিনি ইসলামাবাদে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিভাগে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত বছরের ২৫ মার্চ তিনি মিয়ানমারে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি তাজিকিস্তান, তেহরান (২০১৬-২০১৯), নয়াদিল্লি (২০০৯-২০১২), আবুধাবি (২০০১-২০০৬) এবং জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী মিশনে (১৯৯৮-১৯৯৯) কাজ করেছেন।
এ.আই/এম.আর