ঢাকা, ১২ জুন ২০২৫ : দেশের একমাত্র অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ সরকারি চক্ষু হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, গত ১৩ দিন ধরে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। প্রায় ৬০০ কোটি টাকার এই হাসপাতালটিতে বর্তমানে শুধুমাত্র জুলাই আন্দোলনে আহত কয়েকজন ব্যক্তি অবস্থান করছেন। সূত্রের খবর, অন্তর্বর্তী সরকার এই আহত ব্যক্তিদের জন্য নিয়মিত খাবার সরবরাহ করছে। এর ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি উঠেছে যে, এই হাসপাতালটি এখন জুলাই আহতদের জন্য ‘আবাসিক হোটেল’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ১৩ দিন ধরে বন্ধ, জুলাই আহতদের নিয়ন্ত্রণে
গত ২৮ মে ২০২৫ তারিখে হাসপাতালের কর্মী, সাধারণ রোগী এবং জুলাই আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম জানিয়েছেন, সীমিত পরিসরে জরুরি বিভাগের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হলেও অন্যান্য বিভাগ এখনো বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি জরুরি বিভাগে মাত্র ২৫ জন রোগী সেবা নিয়েছেন এবং আটটি জরুরি অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
এই পরিস্থিতি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা এবং জুলাই আহতদের সঙ্গে কর্মীদের মধ্যে চলমান উত্তেজনার বিষয়টি সামনে এনেছে। আহত ব্যক্তিরা উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবি জানালেও, কর্মীরা নিরাপত্তার অভাবের কারণে কাজে ফিরতে অনীহা প্রকাশ করছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে এখনো কোনো ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, ফলে হাসপাতালের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।
এ.আই/এম.আর