Wednesday, June 4, 2025

খোলা ট্রাক-পিকআপে ঝুঁকি নিয়ে ঈদে বাড়ি ফিরছে মানুষ

টাঙ্গাইল, ০৪ জুন ২০২৫ : আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঘরমুখো মানুষ ছুটছে নিজ গন্তব্যে। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে বাসের ছাদ, খোলা ট্রাক, পিকআপভ্যানসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। যদিও মহাসড়কে চিরচেনা যানজট এবার অনুপস্থিত, তবু যানবাহনের চাপ বেড়েছে এবং যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে।  

বুধবার (০৪ জুন) এলেঙ্গা বাসস্টেশন, রাবনা বাইপাস ও আশেকপুর বাইপাস এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক যাত্রী যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। বাসের পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপ, লোকাল বাস, লেগুনা এবং ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। তবে গণপরিবহনের সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক-পিকআপ ও বাসের ছাদে ভ্রমণ করছেন।
মিরপুর থেকে আগত যাত্রী সুমন খান ও আবিদ খান জানান, মিরপুর থেকে চন্দ্রা আসতে ৪ ঘণ্টা লেগেছে এবং চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। তবে মির্জাপুর থেকে টাঙ্গাইলে আসতে কোনো যানজটের সম্মুখীন হতে হয়নি।
অন্যদিকে, যাত্রী জসীমউদ্দীন বলেন, চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইল আগে ৬০-৭০ টাকা ভাড়ায় আসা গেলেও এখন ২০০ টাকা দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া বাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কামরুল হাসান নামে আরেক যাত্রী জানান, রাবনা বাইপাসে প্রায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়েও গাড়ি পাওয়া যায়নি। বগুড়া যাওয়ার ভাড়া আগে ২০০ টাকা হলেও এখন ৪০০ টাকা দাবি করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জের আবুল কালাম আজাদ ও বগুড়ার আব্দুল লতিফ বলেন, বাস না পেয়ে তারা ট্রাকে করে যাচ্ছেন। বাসে দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করায় অনেকেই ট্রাক ও পিকআপে যাত্রা করছেন। তবে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার প্রত্যাশাই তাদের কাছে বড়।
জেলা প্রশাসক শরীফা হক জানান, এখন পর্যন্ত যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরতে পারছেন। তবে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ আগের তুলনায় বেড়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশের ৬০০ সদস্য ও সেনাবাহিনী মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছে।
এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.