ঢাকা, ০১ জুন ২০২৫: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, মাতারবাড়ি প্রকল্পে জাপান বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। রোববার (০১ জুন) ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
শফিকুল আলম বলেন, “মাতারবাড়ি প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যানে জাপান সহযোগিতা করবে। ২৯ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে তারা বড় অংশ বিনিয়োগ করবে। জাপানের প্রধান বিনিয়োগ সংস্থা জেটপোর (JETRO) এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।” তিনি আরও জানান, জাপানি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা এবং ভিসা জটিলতার সমাধানও আলোচনায় এসেছে। এছাড়া, জাপানের ম্যানপাওয়ার মার্কেটে বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যেখানে জাপান আগামী পাঁচ বছরে ১ লাখ কর্মী নিতে আগ্রহী।
এদিকে, একই দিনে চীন-বাংলাদেশ ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে গড়ে তুলতে চীনা বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসতে হবে। পোশাক, জ্বালানি, কৃষি, পাট এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।”
ড. ইউনূস আরও বলেন, “বাংলাদেশের জনশক্তির অর্ধেকের বয়স ৩০ বছরের নিচে। এই তরুণরা কাজে যোগ দিতে প্রস্তুত। চীনা ব্যবসায়ীদের প্রতি তাদের দক্ষতা কাজে লাগানোর আহ্বান জানাচ্ছি।” সম্মেলনে চীনের ১০০টি কোম্পানির প্রায় ২৫০ জন বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী অংশ নিয়েছেন। এই সম্মেলন বাংলাদেশ ও চীন সরকার যৌথভাবে আয়োজন করেছে।
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরের ধারণক্ষমতার সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠবে এবং রপ্তানি সম্ভাবনা বাড়াবে। প্রকল্পটির ব্যয় ২৪,৩৮১ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ২০২৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ.আই/এম.আর