Sunday, June 1, 2025

ইশরাক সমর্থকদের নগরভবনে অবস্থান, মেয়র পদে শপথের দাবি

ঢাকা, ০১ জুন ২০২৫: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগরভবনের সামনে আবারও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা। রোববার (০১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে তারা ইশরাক হোসেনকে অবিলম্বে মেয়র হিসেবে শপথ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও, তারা উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিয়েছেন।

কদমতলী ৫২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রবিউল আলম দিপুর নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। রবিউল আলম বলেন, “ইশরাক হোসেন জনতার মেয়র। সরকার তার শপথ নিয়ে টালবাহানা করছে এবং আদালতের রায় অমান্য করছে। আমরা শুরু থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আছি এবং জনতার মেয়রের শপথ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না।”
বিক্ষোভকারীদের দাবি, আদালতের রায় এসেছে এবং শপথ নিয়ে বিলম্ব করার কোনো কারণ নেই। তারা অভিযোগ করেছেন, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে ইশরাককে দায়িত্ব দেওয়া থেকে বিরত রাখছে। এর আগে, ১৪ মে থেকে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে ইশরাক সমর্থকরা নগরভবনে অবস্থান শুরু করেন। পরবর্তীতে ২৪ মে এবং ২৮ মে তারা নগরভবনের পাশাপাশি মৎস্য ভবন মোড় ও কাকরাইলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এই অবস্থানের কারণে নগরভবনে স্থানীয় সরকার বিভাগ ১৫ মে থেকে বন্ধ রয়েছে, যার ফলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া অফিস করতে পারছেন না। নগরবাসী জরুরি সেবা নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বংশালের বাসিন্দা সুমন হাসান বলেন, “জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য এসেছিলাম, কিন্তু অফিস বন্ধ। কবে কাজ হবে, তাও কেউ বলতে পারছে না।”
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ডিএসসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস বিজয়ী ঘোষিত হন। ইশরাক হোসেন নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ফলাফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এরপর ২৭ মার্চ ২০২৫ ইশরাকের মামলায় রায়ে তাপসের বিজয় বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা হয়। ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে।
তবে, ইশরাকের শপথ নিয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে। গত ২২ মে হাইকোর্টে শপথ না দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ হয়। পরে ২৯ মে আপিল বিভাগ জানায়, শপথ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
নগরবাসী এই অচলাবস্থার দ্রুত সমাধান চান, যাতে তাদের মৌলিক সেবা ব্যাহত।
এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.