ঢাকা, ০৩ জুন, ২০২৫ : গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সরকার ঘোষণা করেছে যে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো স্বাভাবিক কারণে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়। যদি কোনো কারণে নির্বাচন এই সময়সীমার পরে পিছিয়ে যায়, তবে অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের কাছে এই বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।
২ জুন, সোমবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি জানান, ঐকমত্য কমিশন মঙ্গলবার থেকে দ্বিতীয় দফার বৈঠক শুরু করবে। এই বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তিনি বলেন, “আমরা সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে যতটা সম্ভব ঐকমত্য তৈরি করতে চাই। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেগুলো জুলাই মাসে একটি সনদ আকারে ঘোষণা করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, আলোচনার পরেও যেসব বিষয়ে মতপার্থক্য থাকবে, সেগুলোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জনগণ এবং নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। জনগণ যে দলকে নির্বাচিত করবে, তারাই এই বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করবে।
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে সাকি বলেন, “নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা জরুরি। সংস্কারের যেসব বিষয়ে ঐকমত্য বা দ্বিমত আছে, সেগুলোর ব্যাপারে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। সরকার কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং কী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, তা জনগণের জানা উচিত।”
এ.আই/এম.আর