by
ঢাকা, ৫ জুন ২০২৫: আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণ, পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ এবং দেশীয় পশুর ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ মৌসুমে গরু ও মহিষের চামড়া থেকে ৭২৯ কোটি টাকা এবং ছাগল ও ভেড়ার চামড়া থেকে ৫৮ কোটি টাকাসহ মোট ৭৮৭ কোটি টাকার আয় সম্ভব। তবে, চামড়ার ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি ও এর সঠিক ব্যবস্থাপনা দীর্ঘদিন ধরে একটি জটিল সমস্যা হিসেবে বিদ্যমান। এ সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যের সঙ্গে সংগতি রেখে দেশের অভ্যন্তরে চামড়ার দাম নির্ধারণ ও তা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন গত ৩ জুন কওমী মাদ্রাসার আলেম-ওলামাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, চামড়ার সুষ্ঠু সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বণ্টনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে। তিনি বলেন, “চামড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সম্পদ। এর সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখা সম্ভব।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, চামড়ার অর্থনৈতিক মূল্য দরিদ্র, এতিম ও মিসকিনদের প্রাপ্য, তাই এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
কোরবানির সময় পরিবেশ সুরক্ষাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই, বর্জ্য গর্তে পুঁতে ফেলা এবং জবাইয়ের স্থানে ব্লিচিং পাউডার ও চুন ছিটানোর মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধ করতে হবে। এছাড়া, দেশীয় পশুর ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে এ বছর স্থানীয়ভাবে ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৮২টি গবাদিপশু উৎপাদিত হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৮ হাজার ৫২৩টি বেশি। তবে চাহিদার তুলনায় ৩৫ হাজার ৩৮৭টি পশুর ঘাটতি থাকলেও অন্যান্য অঞ্চল থেকে পশু সরবরাহের মাধ্যমে এ ঘাটতি পূরণ করা হবে।
দেশীয় পশু ব্যবহার শুধু অর্থনৈতিকভাবেই নয়, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এটি স্থানীয় খামারিদের আয় বৃদ্ধি করে এবং আমদানিকৃত অসুস্থ পশুর ঝুঁকি কমায়। সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি ধর্মীয় নেতা ও সাধারণ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চামড়া শিল্পকে একটি সম্ভাবনাময় খাতে রূপান্তরিত করা সম্ভব।
এ.আই/এম.আর
.jpg)
