Saturday, May 17, 2025

গাজার ১০ লাখ অধিবাসীকে লিবিয়ায় পাঠানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ১৭ মে ২০২৫ : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার প্রায় ১০ লাখ অধিবাসীকে লিবিয়ায় স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ শুক্রবার (১৬ মে) এই বিষয়ে জানায়, পাঁচটি সূত্রের বরাতে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়ার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে এবং তাদের প্রলোভন দেখাচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজার ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় স্থায়ীভাবে গ্রহণ করলে ২০১১ সাল থেকে জব্দ করা লিবিয়ার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সম্পদ মুক্ত করে দেওয়া হবে। এছাড়া, গাজার অধিবাসীদের লিবিয়ায় যেতে উৎসাহিত করতে আর্থিক সুবিধা, যেমন বিনামূল্যে বাসস্থান এবং ভাতার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।
তবে, এই পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও লিবিয়ার মধ্যে এখনো কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি। তিনটি সূত্র জানিয়েছে, এই আলোচনায় ইসরায়েলকেও অবহিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত নয় এবং এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
গাজাভিত্তিক স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এই পরিকল্পনার বিষয়ে অজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসিম নাঈম এনবিসি নিউজকে বলেন, “ফিলিস্তিনিরা তাদের মাতৃভূমির প্রতি গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা মাতৃভূমি, পরিবার এবং সন্তানদের ভবিষ্যত রক্ষার জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিদেরই রয়েছে।”
লিবিয়ার রাজনৈতিক অবস্থা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৪ বছর আগে সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে দেশটি অস্থিতিশীলতায় ভুগছে। বর্তমানে লিবিয়ায় দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার ক্ষমতার জন্য সংঘাতে লিপ্ত। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর লিবিয়াকে অপরাধ, সন্ত্রাস, অবিস্ফোরিত মাইন, অপহরণ এবং সশস্ত্র সংঘাতের কারণে ভ্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এই পরিকল্পনার সম্ভাব্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ গাজার কতজন অধিবাসী স্বেচ্ছায় লিবিয়ায় যেতে রাজি হবেন তা অনিশ্চিত। লিবিয়ার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং গাজার ফিলিস্তিনিদের নিজ মাতৃভূমির প্রতি গভীর আনুগত্য এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নকে জটিল করে তুলতে পারে।
এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.