Thursday, May 22, 2025

তিন দফা দাবিতে রাবির ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রাজশাহী, ২২ মে ২০২৫: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভাগের নাম সংস্কারসহ তিন দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসমাইল হোসেন সিরাজী অ্যাকাডেমিক ভবনের ফটকে অবস্থান নিয়ে তারা এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। 

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ‘বিভাগ নিয়ে টালবাহানা, চলবে না, চলবে না’, ‘এই মুহূর্তে দরকার, ফোকলোর বিভাগ সংস্কার’, ‘সিন্ডিকেট না মুক্তি, মুক্তি মুক্তি’, ‘ফোকলোর অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. ফোকলোর বিভাগের নাম পরিবর্ধন/সংস্কার, যাতে বিষয়টির স্বীকৃতি ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।
২. পিএসসি ও ইউজিসিতে ফোকলোর বিষয়ের নাম সংযুক্ত করে কোড প্রদান নিশ্চিত করা।
৩. পরীক্ষার ফলাফল এক মাসের মধ্যে প্রকাশ এবং নির্ধারিত সময়ে ক্লাস রুটিন প্রকাশ করা।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়া শুভ বলেন, “ফোকলোর একটি মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি বিভাগ। কিন্তু এই নাম নিয়ে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে, যার কারণে আমরা চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ছি। তাই বিভাগের নাম পরিবর্তন করা জরুরি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি জানিয়ে আসছি।”
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এস.এন. শোভা বলেন, “আগে ফোকলোর বিভাগ কলা অনুষদের অধীনে ছিল, পরে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু বিভাগের নামের কারণে বাইরের মানুষ বুঝতে পারে না আমরা কোন অনুষদের শিক্ষার্থী। এই নামের জন্য চাকরির বাজারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।”
বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “শিক্ষার্থীরা বিভাগের নাম সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছে। এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার (২০ মে) অ্যাকাডেমিক মিটিংয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার সদস্যরা হলেন প্রফেসর আখতার হোসেন, প্রফেসর মোস্তফা এবং প্রফেসর আমিরুল ইসলাম। এই কমিটি সুপারিশ প্রদান করবে। আমি শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পক্ষে। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছি, তবে শিক্ষার্থীরা কেন এর আগেই অনশন শুরু করলেন, তা আমার জানা নেই।”
এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.