আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ৩০ মে ২০২৫ :ইরান ইস্যুতে উভয় সংকটে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একদিকে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, অন্যদিকে সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ইরানে হামলার তীব্র বিরোধিতা করছে। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সফরকালে তিনি এই তিন দেশের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নেতারা ট্রাম্পকে অনুরোধ করেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে কোনো হামলা না চালায়।
ইরানের ভয়ে কাঁপছে তিন আরব দেশ, উভয় সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
এই তিন আরব দেশ ইরানকে বাঁচাতে এই অনুরোধ করেনি, বরং তারা আশঙ্কা করছে যে, যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল হামলা চালালে ইরান তাদের দেশে পাল্টা হামলা চালাতে পারে। কারণ, এই তিন দেশে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। ইরানের সামরিক বাহিনী ইতোমধ্যে মার্কিন সেনাদের হুমকি দিয়েছে। তারা বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে ৫০ হাজার মার্কিন সেনা “কাচের ঘরে” বসে আছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন ঘাঁটি আছে এমন দেশগুলোকে চিঠি দিয়ে স্পষ্ট জানিয়েছে, তাদের ভূখণ্ড থেকে ইরানে হামলা হলে পাল্টা হামলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ এবং কাতারের আমির তামিম আল থানি ট্রাম্পের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা হলে তাদের দেশগুলো ইরানের পাল্টা হামলার শিকার হতে পারে।
দুই দশকেরও বেশি সময় পর সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান ইরান সফর করেন। এই সফর ছিল মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির কাছে সৌদি বাদশাহ সালমানের একটি গোপন বার্তা পৌঁছে দেন, যাতে ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
যদিও আরব দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রকে হামলার বিরোধিতা করছে, ইসরায়েল ইরানে হামলার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী। তবে, ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা ভালোভাবে এগোচ্ছে। তবে, ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে, তেহরানের ওপর হামলা হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এ.আই/এম.আর