Tuesday, May 20, 2025

জুলাই ঐক্যের হুঁশিয়ারি: ৪৪ আমলা ও ৯৫ ম্যাজিস্ট্রেটের তালিকা প্রকাশ, ৭ দফা দাবিতে ৩১ মে’র সময়সীমা

ঢাকা, ২০ মে ২০২৫: পতিত আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে কর্মরত ৪৪ জন আমলা ও ৯৫ জন ম্যাজিস্ট্রেটের তালিকা প্রকাশ করেছে ৮০টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ প্ল্যাটফর্ম। মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে সাত দফা দাবি তুলে ধরে আগামী ৩১ মে’র মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।

জুলাই ঐক্যের সংগঠক এবি জোবায়ের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমাদের দাবি পূরণে সরকারকে ৩১ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আমরা ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা করব। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
সাত দফা দাবি
জুলাই ঐক্যের সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ লিখিত বক্তব্যে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো:
১. ৩১ মে’র মধ্যে তালিকায় উল্লিখিত আওয়ামী লীগের দোসরদের বাধ্যতামূলক অবসর দিতে হবে।
২. তিন সরকারি কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে হবে।
৩. তথ্য পাচারকারী, ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর নির্দেশদাতা ও সহযোগিতাকারী আমলা-প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ব্যাংক হিসাব ও অবৈধ সম্পদ জব্দ করতে হবে।
৪. স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫. ৫ আগস্টের মধ্যে চিহ্নিত দোসরদের শ্বেতপত্র সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
৬. আইনের ১৩২ ধারা বাতিল বা সংশোধন করতে হবে।
৭. সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের তালিকা ও তাদের সহযোগীদের বিস্তারিত প্রকাশ করতে হবে।
তালিকা প্রকাশ
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ সৈয়দ মুনতাসুর রহমানের বাবা সৈয়দ গাজিউর রহমান ৪৪ জন আমলার নাম পড়ে শোনান। এছাড়া ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর নির্দেশদাতা ৯৫ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নাম পড়েন জুলাই ঐক্যের সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ। তবে সংগঠনটি জানায়, এই তালিকা অসম্পূর্ণ। ভবিষ্যতে শিক্ষা, চিকিৎসা, আইন, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন খাতে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের তালিকাও প্রকাশ করা হবে।

এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.