ঢাকা, ২১ মে ২০২৫: বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেট অবৈধ ঘোষণা এবং তাকে শপথ পড়ানো থেকে বিরত রাখার দাবিতে দায়ের করা রিট মামলার রায় পিছিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২২ মে) পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করেছে হাইকোর্ট। এই রায় ঘোষণা পর্যন্ত সড়কে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা।
বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা সড়কে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। বুধবার (২১ মে) সকাল থেকে হাইকোর্ট, মৎস্য ভবন, কাকরাইল মোড় ও যমুনার সামনে হাজারো সমর্থক অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। এমনকি বিকেলে বৃষ্টি উপেক্ষা করেও তারা সড়কে অবস্থান অব্যাহত রেখেছেন।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা পর্যন্ত থানাভিত্তিক নেতাকর্মীদের সময় ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত মৎস্য ভবন ও কাকরাইল এলাকায় নির্দিষ্ট থানার নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করবেন। এরপর রাত ১০টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত অন্য থানার নেতাকর্মীরা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
ইশরাক সমর্থকরা গত ১৪ মে থেকে নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন, বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানো না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এছাড়া, ডিএসসিসি কর্মচারী ইউনিয়ন ডিএসসিসি এলাকার সব নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। দাবি পূরণ না হওয়ায় বুধবার সকাল ১০টার পর সমর্থকরা নগর ভবন ছেড়ে মৎস্য ভবন ও কাকরাইল এলাকায় অবস্থান নেন।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। গত বছর ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ফলে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে অপসারণ করা হয়। পরবর্তীতে গত ২৭ মার্চ একটি নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ইশরাক হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করে এবং ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন তাকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। তবে এখনও তার শপথ অনুষ্ঠান হয়নি।
ইশরাককে শপথ পড়ানো থেকে বিরত রাখতে গত ১৪ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। বুধবার শুনানি চলাকালীনও ইশরাক সমর্থকরা মৎস্য ভবন ও কাকরাইল এলাকায় বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন।
এ.আই/এম.আর