৩০ মে ২০২৫ : বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস ধরে শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস করতে পারছে না। বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকসহ মোট ১১ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে মাত্র তিনজন শিক্ষক রয়েছেন। সহকারী প্রধান শিক্ষক সবিতা সরকার জানান, এই বালিকা বিদ্যালয়ে দ্রুত শিক্ষক সংকট সমাধানের পাশাপাশি নারী শিক্ষক নিয়োগ অত্যন্ত জরুরি। তিনি আরও জানান, দুই মাস পর তিনি অবসরে যাবেন, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করবে।
শিক্ষক সংকটে জর্জরিত ঐতিহ্যবাহী বালিকা বিদ্যালয়: শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ক্ষোভ
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষকের অবসর, তিনজন শিক্ষকের বদলি এবং একজন শিক্ষকের বিএড প্রশিক্ষণে থাকার কারণে শিক্ষক সংখ্যা কমে গেছে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে বর্তমানে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক সংকটের কারণে নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হারও কমে গেছে। গত মাসে শূন্যপদ পূরণের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে কোনো অফিস সহায়ক নেই, এবং মাত্র একজন সিনিয়র শিক্ষক ও একজন সহকারী শিক্ষক দিয়ে পাঠদান চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দুজন শিক্ষক দুটি ক্লাস পরিচালনা করায় বাকি ক্লাসের শিক্ষার্থীরা অলস সময় কাটাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছে। অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষক সংকট ও ক্লাসের অনিয়মের কারণে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় আগ্রহ হারাচ্ছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা খাতুন জানান, তিনি সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় এই সমস্যার কথা জেনেছেন। তিনি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেবেন বলে জানান। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার মাকসুদুর রহমান জানান, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ জেলা শিক্ষা অফিসের এখতিয়ারে। তিনি বিষয়টি তাদের অবহিত করবেন।
এ.আই/এম.আর