by 
ঢাকা, ৩০ মে, ২০২৫ : দিনভর নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহের পর গভীর রাতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করেছে। এনএসসির সচিব স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিবির ৮ জন পরিচালকের অনাস্থা প্রস্তাব এবং বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) সংক্রান্ত জটিলতার তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বিসিবির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়।
বুধবার রাতে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ফারুক আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে বিসিবি সভাপতি পদে বহাল রাখতে সরকারের অনীহার কথা জানান। ফারুক প্রথমে সময় চাইলেও পরে গণমাধ্যমে জানান, তিনি পদত্যাগ করবেন না। এরপরই বিসিবির ৮ জন পরিচালক ৬ পৃষ্ঠার এক আবেদনে ফারুকের বিরুদ্ধে একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পক্ষপাতিত্ব, এবং বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি অনুমোদনে অবহেলার অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে বিপিএল সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ফারুকের উপর দায় চাপানো হয়। এই দুটি বিষয় বিবেচনায় রাত ১১টার কিছু আগে ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
এদিকে, সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে ফারুকের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে বিসিবির পরবর্তী সভাপতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আমিনুল জানিয়েছেন, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং তিনি আইসিসির কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বিসিবির নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত। তবে তিনি আরও বলেন, এখনও সরকারের পক্ষ থেকে কেউ তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেনি।
এছাড়া, বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। তার স্থলে বিসিবির সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমামকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।
ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিসিবির আসন্ন নির্বাচন, বিপিএলের টিকিট বিক্রি সংক্রান্ত অনিয়ম, এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে প্রভাবশালী পরিচালকদের নাম প্রকাশের বিষয় এই অস্থিরতার পেছনে মূল কারণ হিসেবে কাজ করছে। এই পরিস্থিতি আইসিসির নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, কারণ সরকারি হস্তক্ষেপ ক্রিকেট বোর্ডের স্বায়ত্তশাসনের পরিপন্থী।
এ.আই/এম.আর
.jpg)
