চট্টগ্রাম, ২৯ মে, ২০২৫ : চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার (২৯ মে ২০২৫) একটি নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) তাদের দক্ষতা ও প্রস্তুতি প্রদর্শন করেছে। এই মহড়ায় একটি কাল্পনিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়, যেখানে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে একটি উড়োজাহাজে ‘বোমা সদৃশ’ বস্তু থাকার খবর পৌঁছায়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়া জানায় এবং যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে সন্দেহজনক বস্তুটি শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয় করে।
বেবিচকের আয়োজনে এই মহড়ায় বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং হাসপাতালের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। মহড়ার মাধ্যমে দেখানো হয় যে, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় প্রতিটি সংস্থার দায়িত্ব কী এবং তারা তা মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত। এই মহড়ায় বিমানবাহিনীর একটি এয়ারক্রাফট ও একটি হেলিকপ্টারও অংশ নেয়।
মহড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, “আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইকাও)-এর নির্দেশনা অনুসরণ করে আমাদের এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক) সদস্যরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন ও মহড়া পরিচালনা করে আসছে। আজকের এই মহড়ায় আমরা দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেছি, যা অত্যন্ত ইতিবাচক।” তিনি বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, “প্রত্যেকের পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত সন্তোষজনক।”
বেবিচক জানায়, আইকাও-এর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি দুই বছর পর পর এ ধরনের মহড়া আয়োজন করা হয়, যার মাধ্যমে হাইজ্যাক, অগ্নিনিরাপত্তা ও বোমা হামলার মতো ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা মূল্যায়ন করা হয়। এবারের মহড়ার মূল লক্ষ্য ছিল কোনো এয়ারক্রাফটে বোমা সদৃশ বস্তু পাওয়া গেলে যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া এবং বস্তুটি নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া অনুশীলন করা।
অনুষ্ঠানে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ.আই/এম.আর