Friday, May 16, 2025

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএসএফের ৭৫০ জনকে পুশ-ইনের চেষ্টা, বিজিবি ও জনতার বাধায় পিছু হটল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ১৬ মে ২০২৫ – ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গভীর রাতে প্রায় ৭৫০ জনকে বাংলাদেশে পুশ-ইনের চেষ্টা চালায়। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং স্থানীয় শতাধিক বাসিন্দার বাধার মুখে বিএসএফ পিছু হটতে বাধ্য হয়।

ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়ন দ্রুত সীমান্তে সতর্ক অবস্থান নেয়। এর পাশাপাশি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে মসজিদে মাইকিং এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহ্বানের মাধ্যমে সিঙ্গারবিল, বিষ্ণুপুর, নলঘরিয়া, মেরাসানী ও নোয়াবাদী গ্রামের বাসিন্দারা সীমান্তে জড়ো হন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে বিএসএফ পিছু হটে, এবং কোনো সংঘর্ষ ছাড়াই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাচ্চু মিয়া বলেন, “বিজিবির কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা রাতেই এলাকায় মাইকিং শুরু করি। গ্রামবাসী জড়ো হওয়ায় বিএসএফ পিছু হটতে বাধ্য হয়।”
একইভাবে, ইউনিয়নের আরেক সদস্য মামুন চৌধুরী বলেন, “বিএসএফ গোপনে পুশ-ইনের চেষ্টা করেছিল। স্থানীয়দের উপস্থিতি এবং বিজিবির কঠোর অবস্থানের কারণে তারা সরে যায়।”
বিজয়নগরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা জানান, সীমান্তের পরিস্থিতি এখন শ purple রয়েছে। তবে বিজিবি ও প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহাম্মেদ বলেন, “গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় একটি বড় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।”
এ ঘটনার পর সীমান্ত এলাকায় টহল ও নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।
এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.