তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক, ২৭ মে ২০২৫: গুগল ডিপমাইন্ডের সিইও ডেমিস হাসাবিস সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চাকরির বাজারে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে। কিছু পেশা বিলুপ্ত হলেও নতুন ধরনের কাজের সুযোগ তৈরি হবে। তিনি তরুণদের এখন থেকেই এআই শেখার পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে তারা ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে পারে।
হাসাবিস জানান, প্রযুক্তি সবসময় মানুষের জীবনে পরিবর্তন এনেছে। যেমন ইন্টারনেট মিলেনিয়ালদের জীবনযাত্রা বদলে দিয়েছে, এবং স্মার্টফোন জেন-জেড’র জীবনে প্রভাব ফেলেছে। তেমনি, জেনারেশন আলফার ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করবে এআই। তিনি বলেন, “যারা এআই শিখবে এবং ব্যবহার করতে পারবে, তারাই ভবিষ্যতের বিজয়ী হবে।”
২০২২ সালে চ্যাটজিপিটি’র প্রকাশের পর থেকে এআই নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা তীব্র হয়েছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন, এআই তাদের চাকরি কেড়ে নেবে কি না। হাসাবিস স্পষ্ট করেন, কিছু চাকরি হারিয়ে গেলেও নতুন ধরনের পেশা তৈরি হবে, যেমন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার বা ক্লাউড ইঞ্জিনিয়ারের মতো পেশা অতীতে ছিল না।
তিনি তরুণদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত (STEM) শিক্ষার ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি শেখার আগ্রহ, মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা, সৃজনশীলতা এবং বিশ্লেষণধর্মী চিন্তার মতো সফট স্কিল গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, মেশিন অনেক কাজ করলেও মানবিক বুদ্ধি ও সৃজনশীলতার কাজে মানুষের আধিপত্য থাকবে।
হাসাবিস তরুণ শিক্ষার্থীদের ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে, ফ্রি অনলাইন কোর্স করতে এবং বাস্তব সমস্যা সমাধানের প্র্যাকটিস চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, “এআই কেবল ভবিষ্যৎ নয়, এটি এখনকার বাস্তবতা। যার হাতে এআই জ্ঞান থাকবে, তার হাতেই থাকবে ভবিষ্যতের শক্তি।”
এ.আই/এম.আর