ঢাকা, ৩০ মে ২০২৫: আজ শুক্রবার (৩০ মে) বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন তিনি।
জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের জেড ফোর্সের অধিনায়ক এবং একজন দূরদর্শী নেতা। তার প্রতিষ্ঠিত বিএনপি বর্তমানে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। তিনি কৃষি, শিল্প ও অর্থনীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনেন। খালকাটা কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব এবং আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মাধ্যমে তিনি দেশের স্বনির্ভরতার ভিত্তি স্থাপন করেন। নারী ও শিশুদের উন্নয়নে তার বিশেষ অবদান দেশের সামাজিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তার সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেম তাকে জনগণের হৃদয়ে অমর করে রেখেছে।
এ উপলক্ষে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলো ২৬ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত ৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ, কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, শহীদ জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ এবং দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ। শুক্রবার সকাল ৬টায় নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ও সারাদেশের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরে শহীদ জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে।
১৯৮১ সালের ২৯ মে চট্টগ্রামে সরকারি সফরে গেলে পরদিন গভীর রাতে তাকে হত্যা করা হয়। তার লাশ রাউজানের গভীর জঙ্গলে গোপনে সমাহিত করা হয়েছিল। তিন দিন পর লাশ উদ্ধার করে ঢাকায় আনা হয় এবং লাখ লাখ শোকার্ত মানুষ তার জানাজায় অংশ নেন। পরে তাকে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে সমাহিত করা হয়।
এ.আই/এম.আর