যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক ১০৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করেছেন। বুধবার গভীর রাতে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এই ঘোষণা দেন তিনি। ট্রাম্পের দাবি, চীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করেছে এবং এর প্রতিক্রিয়ায় এই শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, "বিশ্বের বাজারে চীন যে অসম্মান প্রদর্শন করেছে, তার জেরে আমি যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের চীনা পণ্যের ওপর ধার্যকৃত শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত এখন থেকেই কার্যকর হবে। চীনের বোঝা উচিত যে যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো দেশকে অসম্মান করার দিন শেষ হয়ে গেছে।"
চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রথমবার চীনের সব ধরনের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। এরপর ২ এপ্রিল এই শুল্ক ৩৪ শতাংশে উন্নীত করা হয়। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।
৭ এপ্রিল ট্রাম্প হুমকি দেন, যদি চীন ৮ এপ্রিলের মধ্যে শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তবে চীনের পণ্যের ওপর শুল্ক আরও ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে। চীন এই হুমকিতে সাড়া না দেওয়ায় ৯ এপ্রিল থেকে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি কার্যকর হয়, যা ১০৪ শতাংশে পৌঁছায়।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ট্রাম্পের এই ‘অপমানজনক’ শুল্ক নীতি জারি থাকলে চীনও ‘শেষ পর্যন্ত’ লড়াই করবে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীন মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক ৮৪ শতাংশে উন্নীত করেছে।
বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে এই বাণিজ্যযুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই শুল্ক বৃদ্ধি উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হতে পারে।
এ আই/এম.আর