ঢাকা: বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে চলমান চারটি বিসিএস পরীক্ষার জট নিরসনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি, ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ দ্রুত ও স্বচ্ছ করতে আধুনিক পরীক্ষা কাঠামো তৈরির কাজ চলছে।
পিএসসি চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম জানান, ৪৪তম বিসিএসের ৫,৮৮৮ জনের মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, এবং জুনের মধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হবে। ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার আবশ্যিক বিষয়গুলো ৮ মে থেকে ১৯ মে এবং পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষা জুনের শেষ থেকে ৭ জুলাইয়ের মধ্যে হবে।
পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারে অংশীজনদের সঙ্গে কর্মশালা আয়োজন করা হচ্ছে। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মুদ্রণে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এবং প্রশ্নকর্তারা এখন পিএসসিতে এসে কাজ সম্পন্ন করছেন।
গত বছরের শেষ থেকে এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত পিএসসি ৩৬টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের ১২২টি ক্যাটাগরির পদে ৩,৭১২ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে। মৌখিক পরীক্ষার লিথোকোড ফর্মের ডিজাইন ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে সংস্কার আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে, উত্তরপত্র মূল্যায়নে সার্কুলার পদ্ধতি, কমিউনিটি বেসড ইনভিজিলেশন, এবং নেক্সট জেনারেশন উত্তরপত্র ডিজাইন চালু হবে। প্রক্সি পরীক্ষার্থী শনাক্তে থাম্বপ্রিন্ট ভেরিফিকেশন পদ্ধতিও অনুমোদিত হয়েছে।
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি ফল বাতিল না করে অতিরিক্ত ১০,০০০ পরীক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ করার বিষয়ে কমিশনের সদস্য মো. সুজায়েত উল্লা বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তদন্ত করছে সিআইডি। অবৈধ সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, সবার পরীক্ষা বাতিল করলে নির্দোষ পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই অতিরিক্ত প্রার্থী উত্তীর্ণ করা হয়েছে। চূড়ান্ত নিয়োগ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে হবে।
সিলেবাস পরিবর্তন প্রসঙ্গে সদস্য ড. মো. নাজমুল আমিন মুজমদার বলেন, ৪৯তম বিসিএস থেকে সিলেবাস পরিবর্তন হবে, এবং এ লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের সিভিল সার্ভিস সিলেবাস নিয়ে গবেষণা চলছে।
এ আই/এম.আর