গাইবান্ধা, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে অস্তিত্বহীন প্রকল্পের প্রমাণ পেয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল ২০২৫) পরিচালিত এই অভিযানে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম উন্মোচিত হয়েছে।
রংপুর সমন্বিত দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরি�চালক ফেরদৌস রায়হান বকশীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করে। দলটি উপজেলা কার্যালয়ের পাশাপাশি মাঠপর্যায়ের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে। ২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের অবকাঠামো ও রাস্তা নির্মাণসহ চারটি নির্দিষ্ট প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
দুদক দল নিম্নলিখিত প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করে:
উড়িয়া ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া গণপাঠাগার উন্নয়ন প্রকল্প (২০২০-২১): ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল, কিন্তু প্রকল্পের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। স্থানে একটি আধাপাকা নামাজ ঘর পাওয়া গেছে।
উড়িয়া হাওয়া ভবন একতা যুব সংঘের ঘর নির্মাণ (২০২১-২২): ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি। সংঘ কর্তৃপক্ষ নিজেদের অর্থায়নে ঘর নির্মাণের দাবি করে।
উদাখালী ইউনিয়নের কাঠুর (নিলের ভিটা) কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে যাত্রী ছাউনি: ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল, কিন্তু ছয়টি খুঁটির ওপর কয়েকটি টিনের ছাউনি পাওয়া গেছে, যেখানে বেড়া বা বসার ব্যবস্থা নেই। দুদকের ধারণা, এতে সর্বোচ্চ ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করে বাকি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের চন্দিয়া এলাকার মিল্লাতের বাড়ির পাশে পুকুর পারের প্যালাসাইটিং প্রকল্প: এখানেও বাস্তবায়নে গড়মিল পাওয়া গেছে।
উড়িয়া ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া গণপাঠাগার উন্নয়ন প্রকল্প (২০২০-২১): ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল, কিন্তু প্রকল্পের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। স্থানে একটি আধাপাকা নামাজ ঘর পাওয়া গেছে।
উড়িয়া হাওয়া ভবন একতা যুব সংঘের ঘর নির্মাণ (২০২১-২২): ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি। সংঘ কর্তৃপক্ষ নিজেদের অর্থায়নে ঘর নির্মাণের দাবি করে।
উদাখালী ইউনিয়নের কাঠুর (নিলের ভিটা) কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে যাত্রী ছাউনি: ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল, কিন্তু ছয়টি খুঁটির ওপর কয়েকটি টিনের ছাউনি পাওয়া গেছে, যেখানে বেড়া বা বসার ব্যবস্থা নেই। দুদকের ধারণা, এতে সর্বোচ্চ ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করে বাকি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের চন্দিয়া এলাকার মিল্লাতের বাড়ির পাশে পুকুর পারের প্যালাসাইটিং প্রকল্প: এখানেও বাস্তবায়নে গড়মিল পাওয়া গেছে।
ফেরদৌস রায়হান বকশী ঢাকা পোস্টকে বলেন, “দুদকের ঢাকা কার্যালয়ের নির্দেশনায় আমরা ফুলছড়িতে অভিযান পরিচালনা করেছি। এডিবি-অর্থায়িত প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে চারটি প্রকল্প পরিদর্শন করে বেশ কিছু অসঙ্গতি পেয়েছি। এগুলো যাচাই-বাছাই করে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।” অভিযানে অংশ নেন জয়ন্ত সাহা, ফেরদৌস রায়হান বকশী এবং মঞ্জুরুল ইসলাম।
অভিযানের সময় উপজেলা প্রকৌশলী খাইরুল ইসলাম কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। দুদক কর্মকর্তারা অন্যান্য কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এই অভিযান সরকারি তহবিলের অপব্যবহার এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে কঠোর তদারকির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দুদক শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন ঢাকা কার্যালয়ে জমা দেবে।
এ.আই/এম.আর