গোপালগঞ্জে মঞ্চে হামলা-ভাঙচুরের পর এনসিপির সমাবেশ শুরু
গোপালগঞ্জ, ১৬ জুলাই ২০২৫ – জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গোপালগঞ্জে আয়োজিত সমাবেশস্থলে বুধবার দুপুরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে শহরের পৌর পার্কে ২০০ থেকে ৩০০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে জানা গেছে।প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, হামলাকারীরা সমাবেশস্থলে প্রবেশ করে মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুর করে এবং ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় মঞ্চের আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা দ্রুত আদালত চত্বরে চলে যান। এনসিপির নেতা-কর্মীরাও দৌড়ে সরে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুলিশ ও এনসিপির নেতা-কর্মীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। বেলা ২টা ৫ মিনিটে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশস্থলে পৌঁছান। এই প্রতিবেদন লেখার সময় (বেলা ২টা ১৫ মিনিট) পর্যন্ত তাঁরা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এর আগে, এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে একাধিক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে সদর উপজেলার উলপুর-দুর্গাপুর সড়কের খাটিয়াগড় চরপাড়ায় পুলিশের গাড়িতে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। এই ঘটনার খবর পেয়ে এলাকা পরিদর্শনে যান সদর উপজেলার ইউএনও এম রাকিবুল হাসান। ফেরার পথে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের কংশুর এলাকায় তাঁর গাড়িতে হামলা হয়, এতে তাঁর চালক মোহাম্মদ হামিম আহত হন। ইউএনও এম রাকিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে হামলার খবর পেয়ে আমি এলাকা পরিদর্শনে যাই। ফেরার পথে কংশুরে পৌঁছালে একদল লোক আমাদের গাড়িতে হামলা করে। এতে আমার গাড়ির চালক মোহাম্মদ হামিম আহত হয়েছেন।’ ১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলায় পদযাত্রা ও সমাবেশ করেছে দলটি। গতকাল মঙ্গলবার দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘১৬ জুলাই: মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা সত্ত্বেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে এনসিপি তাদের সমাবেশ শুরু করেছে।